নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আশুলিয়ায় বাসার সামনে মাদক ব্যাবসা ও মাদক সেবন সহ অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় নিজ বাড়ির সামনে রফিকুল ইসলাম মোল্লা নামের এক কাঠমিস্ত্রীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে কতিপয় ইয়াবা ব্যাবসায়ীরা। পরে এবিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
রোববার দুপুরে আশুলিয়ার আউকপাড়ার আদর্শ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুরুতর আহত রফিকুল মোল্লার স্ত্রী আকলিমা অভিযোগ করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ও তাঁর ছেলে নুহ (২২) আমার বাড়ির সামনের সিকিউরিটি লাইট অফ করে অন্ধকারের পরিবেশ তৈরি করে। এরপরে সেখানে গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রিসহ নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ করে । বাসার সামনে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের আড্ডা বসায় ভয়ে আমরা বাসা থেকে বের হতে পারিনা। আমার স্বামী বিভিন্ন সময় বাঁধা দিতে গেলে তাকে হুমকি সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । ঈদে সবার বাসায় মেহমান আসবে, তাঁরা এসে যদি এমন মাদকের পরিবেশ দেখে তাহলে আমাদের মানসম্মান তো থাকবে না, তাই আমার স্বামী আবারো তাদেরকে অনুরোধ করেছিল যাতে এই ঈদের সময় অন্তত তাঁরা বাসার সামনে মাদকের আড্ডা না দেয় , কিন্তু ওরা মাদকের ডিলার আলাল, সালেহীন খান শহীদ ওরফে পিস্তল শহীদ এবং হালিমের নেতৃত্বে আমার স্বামীর উপর হামলা চালায়, আমাকেও মারধর করে, কুপিয়ে জখম করে, লোকজন এসে না ফিরালে আমাদেরকে মেরেই ফেলতো । আমার স্বামীর শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে, তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমি এর সঠিক বিচার চাই । এ বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আদর্শগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ারের ছেলে রায়হান মাদকের ডিলার ছিলো, কয়েকবার মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিল, পরে সে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার পর আনোয়ার তার ছোট ছেলে নুহকে দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । আনোয়ার ও আনোয়ারের ছেলে নূহুকে দিয়ে গাঁজার ডিলার হালিম, ইয়াবার ডিলার আলাল , ইয়াছিন ও মদের ডিলার সালেহীন শহীদ অরফে পিস্তল শহীদ তাঁরা এলাকায় মাদক বিক্রি করায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী অপু সহ ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান এ-ব্লকের বাসিন্দা রফিকুল মোল্লার বাড়ির সামনের নিরাপত্তা লাইট বন্ধ করে দিয়ে অন্ধকার তৈরি করে নূহ এর নেতৃত্বে সন্ধ্যার পরে প্রায়ই মাদকের আড্ডা বসাতো এবং মাদক বেচাকেনা করতো। কোরবানির দিন কাঠমিস্ত্রী রফিকের বাসায় মেহমান আসবে বলে মাদক কারবারি নুহ ও তার লোকজনকে তার বাড়ির সামনে মাদকের আড্ডা বসাতে নিষেধ করে। এতে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে রফিকের আর্তচিৎকারে আমরা ঘটনাস্থলে ছুঁটে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এরপরে তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। ওদের জন্য এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকায় যেন তারা আর মাদকের আড্ডা এবং মাদক কেনাবেচাসহ অসামাজিক কার্যকলাপ না করতে পারে এই জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এবিষয়ে অভিযুক্ত নুহ অন্যান্য অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আশুলিয়া থানার তদন্ত ওসি কামাল আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply