দুস্কৃতিকারীরাই বিএনপির সুনাম নষ্ট করছে: জামাল সরকার

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার:কিছু দুস্কৃতিকারী বিএনপির সুনাম নষ্ট করছে। বিএনপির বদনাম হয় এমন কিছু নেতারাই এ ধরনের কাজ করছে। তারা অতি কৌশলে বিএনপির ক্ষতি করে যাচ্ছে। নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তারা এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। যারা এমন কাজ করছেন তারা জুলাই আন্দোলন বিপ্লবে ছিল না। তাই তারা দেশের দরদ বুজে না। সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী জামাল উদ্দিন সরকার শনিবার সাভারে এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে শনিবার সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জামাল উদ্দিন সরকার আরও বলেন, মানুষ মানবিক বাংলাদেশ চায়। সাধারণ মানুষ সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে হাসিনাকে বিদায় করেছে। তার বিদায় হয়েছে ন্যাক্কারজনকভাবে। অসম্মান অপমান হওয়ার কাজ করলে তার ফল দুনিয়াতেও পাওয়া যায়। হাসিনার হঠকারিতার ফলাফল তিনি পালিয়ে এখন দিল্লীতে আশ্রিতা।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী আশেক আলী মোল্লার সভাপতিত্বে নয়াবাড়ী ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি ও ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু, ঢাকা জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ কফিল উদ্দিন, সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন সাইফুল, আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল বাসেদ দেওয়ান, সহ-সভাপতি আবদুর রহমান বাবুল, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেদুল আহসান রাসেল, জেলা মৎসজীবী দলের সভাপতি ইলিয়াস শাহী মোখলেস, সাভার থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসাইন ডালিম, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া, দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন উকিল, যুবদল নেতা ইয়ার মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার শাওন প্রমুখ।

সভায় খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু বলেন, বিএনপির নামে যারা চাঁদাবাজ, জুট ব্যবসায়ি তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। যারা তারেক রহমানের কর্মী তারা কখনও ফ্যাসিস্টদের আশ্রয় দিতে পারে না। তাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারে না। তারেক রহমানের কর্মীরা দেশের সব থেকে সেরা কর্মী। সাহসী ও শক্তিশালী কর্মী। নেতার আদর্শ ও নীতি আমাদের মানতে হবে। দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।
১৭ বছরের স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে দেশ। তাদের অট্রালিকা ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়া হয়েছে। খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন বিল্টু আরও বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম করতে হলে জনগনের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় যেতে হবে। ৩১ দফা কখন বাস্তবায়িত হবে। বিএনপি বলছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট হতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে কোন সময় যে কোন জায়গায় সংস্কার হতে পারে।

আলহাজ কফিল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী সময়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ফিরোজ কবীরকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে আপনারা আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু সে সময়ের স্বৈরাচার আমাকে একটি মুহুর্তও শান্তিতে চেয়ারে বসতে দেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে এসেছিলাম চেয়ারম্যানের অফিসে কিন্তু আমাকে বসতে দেয়া হয়নি। নির্বাচনের পরপরই ঈদের সময়ে বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানির প্রতিনিধিরা নানা টাকা-পয়সার অফার নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তা গ্রহণ করিনি। নেতার আদর্শ চাঁদাবাজি নয়। জুট ব্যবসার ভাগাভাগি নয়। দলের আদর্শকে ধারণ করতে হবে। আদর্শ লালন করতে হবে।
আবদুল গফুর বলেন, বিএনপির নামে এলাকায় নেতারা জুট ব্যবসার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রকৃত বিএনপি নেতা কখনও এমন কাজ করতে পারে না। আসল বিএনপি কোন ব্যবসা পায়নি। আওয়ামী লীগের সাথে চুক্তি করে ভারত গিয়ে ব্যবসার টাকা দিয়ে আসা হচ্ছে। আমাদের হাতে এ সংক্রান্ত তথ্যের প্রমাণ আছে।
সাইফুদ্দিন সাইফুল বলেন, ৩১ দফা কর্মসূচীর ভেতরে দেশের জনগণের কথা বলা হয়েছে। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে। তাই দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য দায় দায়িত্ব নিতে হবে। কাজ করতে হবে। তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial