সাভারে ফুড কোর্ট মার্কেটে চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতার-১

Spread the love

সাভারে ফুড কোর্ট মার্কেটে চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেফতার-১

স্টাফ রিপোর্টার: সাভারের বিরুলিয়া ব্রীজ ফুড কোর্ট মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে চাঁদা দাবি, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার এসআই আব্দুল ওহাব।

গত বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনার পর মার্কেট ও দোকান মালিকরা বিষয়টি যৌথবাহিনীকে জানান। পরে যৌথবাহিনী ও সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিল্লাল নামের একজনকে গ্রেফতার করে। পরে মার্কেট মালিক মামুন নামের একজন বাদী হয়ে ৭জনসহ আরও ২৫/৩০ জনের নাম উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৭।

অভিযুক্তরা হলেন বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবর এলাকার মৃত কফিলের ছেলে মোহাম্মদ মামুন (৩০), এনায়েত উল্লাহর ছেলে মোঃ বিল্লাল(২৭), আলি আশরাফ(২৮),জসীম উদ্দীন(২০),দেলোয়ার হোসেন (২৪) ৬.মেহেদী২৪) ও ইউসুফ মোল্লার ছেলে কাউসার (৩০) মোল্লা সহ অজ্ঞাত আরো ২৫/৩০ জন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ২রা এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে অভিযুক্তরা সহ আরও প্রায় ২৫/৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মার্কেটের ৬০টি দোকানে ৬০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় সকল রেস্টুরেন্টের খাবার ফেলে দেয়। চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে এবং সব দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্কেট মালিক মোঃ মামুন বলেন, বিরুলিয়া ব্রীজ ফুড কোর্ট মার্কেটটি আমরা ৫ জন মিলে তৈরি করি। বিগত কয়েক দিন যাবত বিরুলিয়ার বিল্লাল ও মোহাম্মদ মামুনের ইন্ধনে তাদের লোকজন মার্কেটে এসে প্রতিনিয়তই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। গত বুধবার মামুন আমাকে ফোন দিয়ে বলে মার্কেটে থাকার জন্য। বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পর আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে চলে যাই। পরে আমি জানতে পারি মোহাম্মদ মামুন ও বিল্লাল ২৫/৩০ জন লোক মার্কেটের দোকান গুলোতে চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না পেয়ে ভাংচুর চালায় ও দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে করে মার্কেটের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।পরে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে তারা বিল্লালকে গ্রেফতার করে। তিনি আরো বলেন, বিল্লাল বর্তমানে যুবদল করে। আগে মামুন যুবলীগ করতো। মামুনের যুবলীগের ব্যানার বিরুলিয়া ব্রীজের পাশে টানানো ছিলো। সে আবার এখন নাগরিক কমিটির পরিচয় দেয়। সাভার নাগরিক কমিটির নাইম ভাই বলছে মামুন নাগরিক কমিটির কেউ না। আমি এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। যাতে করে এই গরীব দোকানিরা শান্তি মত ব্যবসা করতে পারে।

রেস্টুরেন্টের মালিক ও কর্মচারীরা জানান, গতকাল রাতে ২০/৩০ জন লোক তাদের রেস্টুরেন্টে এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ করতে বলে। এক পর্যায়ে তারা রেস্টুরেন্টের খাবার ও জিনিসপত্র ফেলে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক দোকান বন্ধ করে দেয়।

বিরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মেম্বার বলেন, ঘটনার এক ঘন্টা পর আমি জানতে পারি এবং সেখানে যাই। দুই পক্ষকে মিলানোর চেষ্টা করি। মিমাংসার শেষ পর্যায়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। তাই আর মিমাংসা হয়নি। পরে আমি চলে আসি। বিল্লাল এই এলাকার ছেলে, সে বিএনপি করে, তার বাবা আওয়ামী লীগ করতো। আর মামুন আওয়ামী লীগ করতো। এই মামুনের সাথে মিল করে তারা এ ঘটনা ঘটায়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial