
স্টাফ রিপোর্টার: সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির যুব বিষয় সম্পাদক নাজমুল ইসলাম রুবেল একজন সাহসী ও সংগ্রামী নেতা হিসেবে পরিচিত। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল, কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে তিনি জাতীয়তাবাদী যুবদলের ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে রাজনীতির মাঠে প্রবেশ করেন। যদিও তিনি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা, তবে সাভারের রাজনৈতিক অঙ্গনে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ফ্যাসিবাদী দমননীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন রুবেল। তার রাজনৈতিক জীবনের পথচলা কখনোই মসৃণ ছিল না। বারবার তাকে মামলার শিকার হতে হয়েছে, এমনকি বেশ কয়েকবার কারাবরণও করেছেন। তবে কোনো প্রতিকূলতাই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
গত বছর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিনি সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন। সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলনরত জনতার ওপর পুলিশের গুলি বর্ষণের সময় তিনি গুরুতর আহত হন এবং তার পায়ে গুলি লাগে। এখনো সেই ক্ষত পুরোপুরি সেরে ওঠেনি, কিন্তু তিনি দমে যাননি। তার এই সংগ্রামী চেতনা ও সাহস সাধারণ জনগণের মধ্যে তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।
রাজনীতিকে কখনোই নিজের পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি রুবেল। সততা ও নৈতিকতার আদর্শে অবিচল থেকে তিনি বিশ্বাস করেন, “রাজনীতি আমার নেশা, পেশা নয়। যারা জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করেন, তাদের উচিত একটি বৈধ পেশা থাকা। আমরা চাই না, আওয়ামী লীগের মতো কেউ রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করুক। চাঁদাবাজি, ফিটিংবাজি করে চলুক, এটা আমাদের নীতি নয়।”
অসচ্ছল হলেও অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে চান না রুবেল। প্রতিবছরের মতো এবারও তিনি একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ নিয়েছেন। তার মতে, রাজনীতিকে ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং সাধারণ জনগণের আস্থা হারিয়ে যায়।
তার এই নিষ্ঠা ও সততার জন্য এলাকার মানুষ তাকে ভালোবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। তার মতো যুব নেতারা যদি রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ও সততার আদর্শ ধরে রাখেন, তাহলে জাতীয়তাবাদী শক্তি আরও সুসংগঠিত হবে এবং রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। নাজমুল ইসলাম রুবেলের মতো নেতৃত্বই হতে পারে আগামী দিনের অনুপ্রেরণা।
তাই রুবেলদের মতো সৎ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের যাতে দলীয় ভাবে মূল্যায়ন করা হয় এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
Leave a Reply