সাভারে জিরাবো স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিকে স্পোর্টিং ক্লাব বিজয়ী

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার: সাভারে শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে জিরাবো স্পোর্টিং ক্লাব ২-১ গোলে হারিয়ে বিকে স্পোর্টিং ক্লাব বিজয়ী হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে জুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বংশী নদীর তীরে মিনি স্টেডিয়ামে ‘শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। টুর্ণামেন্টে জিরাবো স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিকে (বলিয়ারপুর-কোন্ডা) স্পোর্টিং ক্লাব বিজয়ী হয়েছে। খেলায় জিরাবো স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ৪ জন নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন।

বিএনপির সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ এর সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান মো: সালাউদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মো: খোরশেদ আলম, সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা দেওয়ান মো: মঈনুদ্দিন বিপ্লব, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেত্রী মিনি আক্তার ঊর্মি, সাভার পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আবদুর রহমান, সাভার পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ, সাভার পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান অভি প্রমুখ। এ সময় পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে সাভার ও আশুলিয়ার গণআন্দোলনের সকল শহীদদের ছবি ও ব্যানার দিয়ে সাজানে হয়।

সাভার উপজেলার ৮টি দল এ খেলায় অংশগ্রহণ করবে।এ টুর্নামেন্টটি ৩০ নভেম্বর শনিবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ১৩ ডিসেম্বরে টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। গতকালের খেলায় ফিফা তালিকাভুক্ত রেফারী আনিছুর রহমান সাগর খেলা পরিচালনা করেন। টুর্ণামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আজমল আমিন খেলার সার্বিক তত্বাবধান করেন। খেলায় ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আনোয়ার হোসেন রুদ্র ও ইব্রাহিম খলিল। বিজয়ী বিকে (বলিয়ারপুর-কোন্ডা) স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়ার আশিক ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সম্মানে আলাদা তাবুতে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শহীদ শ্রাবণ গাজীর পিতা মান্নান গাজী, শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের পিতা, শহীদ আব্দুল কাইয়ুমের মা, শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা, শহীদ শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের পিতা ও শহীদ তানজিম আহমেদ সুজনের বোন বক্তব্য রাখেন।

এসময় তারা বলেন, বাংলাদেশে গত ১৬ বছর ফেরাউনের শাসন কায়েম ছিলো। জুলাই-আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আমাদের সন্তানরা জীবনের বিনিময়ে এ জালেমের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দ্বিতীয়বার আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছে। আমাদের এ স্বাধীনতা যেন হারিয়ে না যায়; ঐক্যবদ্ধভাবে সেদিকে সবাইর নজর রাখতে হবে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
en_USEnglish