স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ধীরে ধীরে রূপ নেয় স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে। সাধারণ ছাত্রদের পাশাপাশি এতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাও। সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলনের সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ছাত্রদল নেতা তাজ খান নাঈম।
আন্দোলনের শুরু থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা হামলা ও মামলার শিকার হয়েও পিছু হটেননি তিনি। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশের গুলির মুখে থেকেও রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যান। আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহযোগিতায় তার বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। একই সময়ে সাভার থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ পরিস্থিতিতে আত্মগোপনে থেকে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ ইকবালের দিকনির্দেশনায় আন্দোলন চালিয়ে যান তাজ খান নাঈম।
তাজ খান নাঈম বলেন, “৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যদি স্বৈরাচার সরকারের পতন না হতো, তবে আমাকে হয় ক্রসফায়ারে হত্যা করা হতো, নয়তো সারা জীবন জেল খাটতে হতো। তাই আমি প্রত্যাশা করি, ভবিষ্যতে আর যেন এ ধরনের স্বৈরাচারী শাসন দেশে প্রতিষ্ঠিত না হয়।”
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, তাজ খান নাঈমের সাহসী নেতৃত্ব সাভারের রাজপথে আন্দোলনকে বেগবান করে এবং সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্বৈরাচার বিরোধী বৃহত্তর গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Leave a Reply