স্টাফ রিপোর্টার: সাভারে একটি হত্যা মামলার আসামি জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার সাক্ষীসহ একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার বিকালে সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের যাদুরচর এলাকার পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন- হত্যা মামলার সাক্ষী ওই এলাকার আহম্মেদ সানি (২৯), তার মামা মো. ফারুক (৪৭), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫), মো. শাহীন মাহমুদ (৩৭) এবং মামাতো ভাই আবিদ হাসান সিয়াম (১৭)। স্থানীয়রা
আহতদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত সানির মা সেলিনা আহম্মেদ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জুয়েল মিঞা।
অভিযোগের বরাতে ওসি বলেন, “২০২৩ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার মামলার প্রধান আসামি রকিবুল ইসলাম ফয়সাল জামিনে এসে মামলার সাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদানসহ হত্যার হুমকি দেয়।
এরই মধ্যে রোববার বিকালে ফয়সাল ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে মামলার প্রধান সাক্ষী আহাম্মেদ সানির ওপর হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা সানির মা ও মামাদেরকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে সন্ত্রাসীরা চলে গেলে এলাকাবাসী তাদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
আহত সানির মা সেলিনা আহম্মেদ বলেন, “রোববার বিকাল ৫টার দিকে সাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল লোকজন নিয়ে আমার ছেলের ওপর হামলা করে।
এ সময় আমার ভাই ফারুক, দেলোয়ার ও শাহীন এবং ভাতিজা আবিদ হাসান সিয়াম এগিয়ে গেলে ফয়সাল ও তার লোকজন তাদেরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে একজনের মাথা থেকে কান ও আরেকজনের আঙ্গুল বিছিন্ন হয়ে য়ায়।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জুয়েল মিঞা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানা পুলিশের দুটি ও ট্যানারি ফাঁড়ির একটি এবং গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম জড়িতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।